মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনকে ঘিরে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনের তফসিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগাম প্রচারণার বিষয়েও দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। একইসাথে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কোন প্রার্থী কতো টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট থেকে ‘নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত তথ্যাদি’ জানানো হয়েছে।
তথ্যানুসারে, সিসিক নির্বাচনে একজন মেয়র প্রার্থী ‘ব্যক্তি ব্যয়’ (ব্যক্তিগত খরচ) বাবদ সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন। মেয়র প্রার্থীর ‘নির্বাচনী ব্যয়’ সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা হবে।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা-২০১০ এর বিধি ৪৯(১)(ক)(অ)(আ) অনুযায়ী মেয়র প্রার্থীর জন্য এই ব্যয়সীমা নির্ধারণ করেছে ইসি।
নির্বাচন কমিশন সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী এবং মহিলাদের জন্য ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রার্থীদের ব্যয়সীমাও বেঁধে দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সিসিকের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ ১০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয় বাবাদ এক লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। এ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ ২০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে ২ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।
সিসিকের ৪নং ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ ১০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয় বাবাদ এক লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। ৫নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ ২০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে ২ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। ৬নং ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খাতে ১০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয় বাবাদ এক লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। এ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে ৪ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।
ইসির নির্দেশনা অনুসারে, সিসিকের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত ব্যয়ে ২০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ে ২ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন একজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী। এ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে ৬ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।
সিসিকের ১০নং ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ ২০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয় বাবদ ২ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত ব্যয়ে ১০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ে এক লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী। এ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খাতে ৩০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে ৪ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।
সিসিকের ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত ব্যয়ে ১০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ে এক লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। এ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৫নং ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত ব্যয়ে ২০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ে ২ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।
সিসিকের ১৬, ১৭ ও ১৮নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত ব্যয়ে ১০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ে এক লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। এ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৬নং ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত ব্যয়ে ৩০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুসারে, সিসিকের ১৯, ২০ ও ২১নং ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত ব্যয়ে ১০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে এক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন। এ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৭নং ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত ব্যয়ে ৩০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।
সিসিকের ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খাতে ১০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। এ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৮নং ওয়ার্ডে একজন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর ব্যক্তিগত ব্যয়সীমা ২০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়সীমা ২ লাখ টাকা।
সিসিকের ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর ব্যক্তিগত ব্যয়সীমা ১০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়সীমা এক লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে ইসি। এ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৯নং ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত ব্যয়ে ৩০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।
ইসি জানায়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা-২০১০ এর বিধি ৪৯(১)(খ)(অ)(আ) অনুযায়ী সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর জন্য এই ব্যয়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্বাচনের প্রচারণার সময় প্রার্থীর নিজের খাবার ও যানবাহনের জ্বালানির খরচের বিষয়গুলো ‘ব্যক্তিগত ব্যয়’ হিসেবে দেখানো যাবে বলে জানিয়েছে ইসি।
ইসি বলছে, এই ব্যয়সীমা নিবার্চনী আচরণবিধি হিসেবে গণ্য হবে। ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করলে তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিলেটভিউকে জানিয়েছে, সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থীরা নির্ধারিত ব্যয়সীমা মানছেন কিনা, তা দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জুলাই সিলেট সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২৮ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ ও ২ জুলাই এবং প্রত্যাহারের তারিখ ৯ জুলাই নির্ধারিত রয়েছে।